
বরেণ্য এই ভাষা সৈনিক গত রোববার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শমরিতায় ভর্তি হন। এছাড়া তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন ধরেই তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় বলে জানান তার মেয়ে ব্যারিস্টার রিমিন ফারহানা।
বরেণ্য এ ভাষাসৈনিককে কোথায় দাফন করা হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। পারিবারিকভাবে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজীবন রাজনীতিতে যুক্ত অলি আহাদ ছিলেন ডেমোক্রেটিক লীগের চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারিতে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গণতান্ত্রিক যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের জন্য সর্বপ্রথম তিনিই গ্রেফতার হয়েছিলেন।
অলি আহাদ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে ন্যাপে যোগ দেন তিনি।
বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে পরিচালিত সব সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এজন্য জীবনের অনেকটা সময় তাকে কারাগারেও থাকতে হয়েছিল।
’৮০ এর দশকে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখিও হয়েছিলেন অলি আহাদ। স্বৈরাচারবিরোধী জনমত গঠনের জন্য তার সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ ওই সময় নিষিদ্ধ করা হয়।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অলি আহাদকে ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়।
অলি আহাদের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়র সরাইলের ইসলামপুর গ্রামে। তার একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার নমিন ফারহানা হাই কোর্টের আইনজীবী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন