প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ না জানানোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সরকারের এই আচরণ ও তাদেরই করা তথ্য
অধিকার আইন পরস্পরবিরোধী।’ তিনি সরকারের এই আচরণকে গণমাধ্যমের ওপর ‘চরম
আঘাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায়
মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, এ সরকারের ভিত দুর্বল হয়ে গেছে। সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত। যখন সরকার দুর্বল হয়ে যায়, তখন এ ধরনের আঘাত করে।
মওদুদ বলেন, এ সরকারের ভিত দুর্বল হয়ে গেছে। সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত। যখন সরকার দুর্বল হয়ে যায়, তখন এ ধরনের আঘাত করে।
বিএনপি আলোচনায় যাবে বলে নির্বাচন কমিশন যে আশা প্রকাশ করেছেন, সে প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, ‘যদি বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়, তাহলে কী করে আশা করেন বিএনপি আলোচনায় আসবে? যদি স্পষ্ট করা হয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সংবিধান সংশোধন করা হবে, তাহলে বিএনপি যেকোনো আলোচনায় রাজি।’ বর্তমান সংবিধান রেখে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। যে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে না, সে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’ তিনি আবারও বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকারের ‘এজেন্ট’ উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী চললে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হবে। পদ্মা সেতু এ সরকারের আমলে আর হবে না।
ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি যাতে তদন্ত করতে পারে, সে জন্য বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন করা হয়েছিল। এখন যাঁরা ক্ষমতাসীন, তাঁদের দুর্নীতির বিচার করলে বোঝা যাবে সত্যিকারের স্বাধীন দুদক আছে।’
ইয়ুথ ফোরাম নামের একটি সংগঠন ‘চলমান রাজনীতি: আইনের শাসন, সরকারের ভূমিকা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন