কোরবানির গরু বিক্রেতাদের মত এবার মাথায় হাত
পড়েছে খুচরা চামড়া বিক্রেতাদের। অন্যান্যবারের তুলনায় চট্টগ্রামে এবার পশু
কোরবানির সংখ্যা বেশি হওয়ায় চামড়ার সরবরাহও প্রচুর। এর ফলে খুচরা
বিক্রেতারা যে দামে চামড়া সংগ্রহ করেছেন সে দামে কিনতে চাচ্ছেন না
আড়তদাররা।
এতে খুচরা বিক্রেতাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তবে চামড়া সরবরাহ বেশি থাকায় অন্যান্যবারের চেয়ে এবার খোশমেজাজে আছেন আড়তদাররা। এদিকে র্যাব-পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকায় এ পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রি নিয়ে নগরীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরীর এবং গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমী খুচরা বিক্রেতারা জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো নিয়ে আসেন নগরীর আতুরার ডিপো, মুরাদপুর সহ আশপাশের এলাকায়। সেখান থেকে আড়তদাররা নির্দিষ্ট দামে এসব চামড়া সংগ্রহ করেন। চট্টগ্রামে সাধারণত এ নিয়মেই কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়ে আসছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা যারা কাঁচা চামড়ার প্রকৃত আড়তদার, আমরা কোনভাবেই প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫৫ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে পারবনা। কারণ এর চেয়ে বেশি দামে ট্যানারি মালিকরা আমাদের থেকে কিনবেন না। আর এবার সরবরাহ প্রচুর। আমরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের এর থেকে বেশি দাম দেব কেন ?’
উল্লেখ্য কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা এবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে তিন লক্ষ পিস গরুর চামড়া এবং ৭০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া কেনার টার্গেট নিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর চৌমুহনী, হালিশহর, মুরাদপুর থেকে আতরার ডিপো পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন গলি, মার্কেটের সামনে এবং সড়কের মূল পয়েণ্টে কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির আশায় বসে আছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অনেক বেপারী দুপুরে নগরীতে এলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন চামড়াই বিক্রি করতে পারেননি।
চৌমুহনী এলাকায় রাকিব নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী যুবক জানান, তিনি এবার ৭০টির মত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। গতবার করেছিলেন ৪০টি। মোটামুটি বড় গরুর প্রতিটি চামড়া তিনি বর্গফুট ৮০ টাকায় কিনেছেন। কিন্তু এসব চামড়া তার কাছ থেকে আড়তদাররা বর্গফুট প্রতি ৫০ টাকা দরে কিনতে চাচ্ছেন। এজন্য তিনি সংগ্রহ করা চামড়াগুলো বিক্রি করতে পারছেন না।
নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে ট্রাকে করে কাঁচা চামড়া নিয়ে এসেছেন সৈয়দ নূর নামে এক কাঁচা চামড়ার নতুন বেপারি। তিনি তার চামড়ার দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতিটি দেড় হাজার থেকে এক হাজার ছয়’শ টাকা। আড়তদার খোরশেদ আলম হিসেব করে দেখলেন, এ দামে চামড়া কিনতে হলে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়ছে এক’শ টাকারও উপরে।
এ নিয়ে দেনদরবারের এক পর্যায়ে সৈয়দ নূর জানালেন, তিনি প্রতি বর্গফুট ৮০ টাকা দরে রাউজান, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছেন। গতবার ৬০ টাকা দরে সংগ্রহ করে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। এজন্য এবার ৮০ টাকা করে কিনেছেন বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা দাম বেঁধে না দেয়ায় নতুন বেপারিরা যে যেভাবে পারছেন কাঁচা চামড়া কিনছেন। আমাদের সঙ্গে তাদের ক্রয়মূল্যের কোন সমন্বয় হচ্ছেনা। সব মিলিয়ে বাজারে একটা বিশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আড়তদাররা প্রথমে চামড়ার বাজার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাজারে এত চামড়া এসেছে শেষ পর্যন্ত খুচরা বিক্রেতারা কম দামেই চামড়া ছাড়তে বাধ্য হবেন বলে আশা আড়তদারদের। আর তখনই আড়তদাররা চামড়া সংগ্রহ করবেন।
মৌসুমী আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ বেশি হওয়ার অজুহাত তুলে আড়তদাররাই সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কম দিতে নানা গড়িমসি শুরু করেছেন। তারা প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় কেনার কথা বললেও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রির সময় ঠিকই এক`শ টাকায় কিংবা তারও বেশি দামে বিক্রি করবেন।
মৌসুমী আড়তদারদের ঠকিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী হিসেবে বেশি লাভ করার কৌশল আড়তদাররা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘মুরগীর দোকানদার, বিদেশ থেকে আসা হঠাৎ পয়সাওয়ালারা বেপারী সেজে বেশী দামে চামড়া কিনেছেন। আমাদের তো বাপদাদার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে পারবনা।`
এতে খুচরা বিক্রেতাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তবে চামড়া সরবরাহ বেশি থাকায় অন্যান্যবারের চেয়ে এবার খোশমেজাজে আছেন আড়তদাররা। এদিকে র্যাব-পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকায় এ পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রি নিয়ে নগরীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরীর এবং গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমী খুচরা বিক্রেতারা জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ করে সেগুলো নিয়ে আসেন নগরীর আতুরার ডিপো, মুরাদপুর সহ আশপাশের এলাকায়। সেখান থেকে আড়তদাররা নির্দিষ্ট দামে এসব চামড়া সংগ্রহ করেন। চট্টগ্রামে সাধারণত এ নিয়মেই কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়ে আসছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা যারা কাঁচা চামড়ার প্রকৃত আড়তদার, আমরা কোনভাবেই প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫৫ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে পারবনা। কারণ এর চেয়ে বেশি দামে ট্যানারি মালিকরা আমাদের থেকে কিনবেন না। আর এবার সরবরাহ প্রচুর। আমরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের এর থেকে বেশি দাম দেব কেন ?’
উল্লেখ্য কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা এবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে তিন লক্ষ পিস গরুর চামড়া এবং ৭০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া কেনার টার্গেট নিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর চৌমুহনী, হালিশহর, মুরাদপুর থেকে আতরার ডিপো পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন গলি, মার্কেটের সামনে এবং সড়কের মূল পয়েণ্টে কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির আশায় বসে আছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অনেক বেপারী দুপুরে নগরীতে এলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন চামড়াই বিক্রি করতে পারেননি।
চৌমুহনী এলাকায় রাকিব নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী যুবক জানান, তিনি এবার ৭০টির মত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। গতবার করেছিলেন ৪০টি। মোটামুটি বড় গরুর প্রতিটি চামড়া তিনি বর্গফুট ৮০ টাকায় কিনেছেন। কিন্তু এসব চামড়া তার কাছ থেকে আড়তদাররা বর্গফুট প্রতি ৫০ টাকা দরে কিনতে চাচ্ছেন। এজন্য তিনি সংগ্রহ করা চামড়াগুলো বিক্রি করতে পারছেন না।
নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে ট্রাকে করে কাঁচা চামড়া নিয়ে এসেছেন সৈয়দ নূর নামে এক কাঁচা চামড়ার নতুন বেপারি। তিনি তার চামড়ার দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতিটি দেড় হাজার থেকে এক হাজার ছয়’শ টাকা। আড়তদার খোরশেদ আলম হিসেব করে দেখলেন, এ দামে চামড়া কিনতে হলে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়ছে এক’শ টাকারও উপরে।
এ নিয়ে দেনদরবারের এক পর্যায়ে সৈয়দ নূর জানালেন, তিনি প্রতি বর্গফুট ৮০ টাকা দরে রাউজান, রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছেন। গতবার ৬০ টাকা দরে সংগ্রহ করে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। এজন্য এবার ৮০ টাকা করে কিনেছেন বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা দাম বেঁধে না দেয়ায় নতুন বেপারিরা যে যেভাবে পারছেন কাঁচা চামড়া কিনছেন। আমাদের সঙ্গে তাদের ক্রয়মূল্যের কোন সমন্বয় হচ্ছেনা। সব মিলিয়ে বাজারে একটা বিশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আড়তদাররা প্রথমে চামড়ার বাজার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাজারে এত চামড়া এসেছে শেষ পর্যন্ত খুচরা বিক্রেতারা কম দামেই চামড়া ছাড়তে বাধ্য হবেন বলে আশা আড়তদারদের। আর তখনই আড়তদাররা চামড়া সংগ্রহ করবেন।
মৌসুমী আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ বেশি হওয়ার অজুহাত তুলে আড়তদাররাই সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কম দিতে নানা গড়িমসি শুরু করেছেন। তারা প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় কেনার কথা বললেও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রির সময় ঠিকই এক`শ টাকায় কিংবা তারও বেশি দামে বিক্রি করবেন।
মৌসুমী আড়তদারদের ঠকিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী হিসেবে বেশি লাভ করার কৌশল আড়তদাররা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘মুরগীর দোকানদার, বিদেশ থেকে আসা হঠাৎ পয়সাওয়ালারা বেপারী সেজে বেশী দামে চামড়া কিনেছেন। আমাদের তো বাপদাদার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে পারবনা।`
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন