শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

দিল্লির কারাগার থেকে বাংলাদেশি স্থপতির মুক্তি

ভারতের রাজধানী দিল্লি¬র একটি কারাগারে আট বছর বন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি স্থপতি রশিদ আহমেদ ও তাঁর পুত্রবধূ নূর নাহার। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিহার কারাগার থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা  জানান, মুক্তি পাওয়ার পর আজ শনিবার সকালে তাঁরা বিমানে করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে আজমির শরিফ যাওয়ার জন্য তাঁরা ভারতে আসেন। দিল্লিতে তাঁরা পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। পরে ব্যবস্থাপকের নির্দেশে কিছু লোক এসে জাল নোট পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে হোটেল থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
পরে সিবিআই জাল টাকা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি চলছিল দিল্লি¬র তিস হাজারি আদালতে।
এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুন ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, রশিদ আহমেদ একজন নামী শিল্পী। এভাবে তিনি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। তা ছাড়া বিনা বিচারে রশিদ আহমেদ আট বছর ধরে কারাবন্দী। এ পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রশিদ আহমেদ কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের স্থপতি বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপরে ফিরে আসুন Blogger Widgets