ভারত মহাসাগরের জলদস্যূতার ব্যাপারে চিন্তিত হয়ে- বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এডেন উপসাগরীয় অঞ্চল সরকারকে এ অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী ভারতীয় বানিজ্য জাহাজগুলিকে নিরাপত্তা দিতে অভিজাত কমান্ডো দলকে নিয়োজিত করতে তৎপর করছে। এ দলটি ভারতীয় নৌবাহিনীর (মারকোস) সমুদ্র কমান্ডোদের সাথে যোগ দিবে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, এ পাইলট প্রকল্পের বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং দলটির কার্যক্রম বছরের শেষ ভাগে শুরু হবে।
ভারত মহাসাগরে যখন বিশাল আকারের জলদস্যূতার ঘটনা ঘটে, ২০১২ এর মার্চের শেষ থেকে এ বছরের মে-র প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে- সোমালী জলদস্যূদের দ্বারা মুক্তিপণের দাবীতে ৪৩জন ভারতীয় নাবিককে অপহরণ করা হয়, ভারতীয় জাহাজ ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে জরুরী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হলে কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
সশস্ত্র প্রহরা জাহাজ
৬৯০০ জনের মত সি আই এস এফ কর্মকর্তা দেশের প্রধান ১৪টি বন্দরের পাহারায় নিয়োজিত থাকবে, যাদের মধ্যে রয়েছে, মুম্বাই, চেন্নাই, বিশাখাপত্তম, কলকাতা, হলদিয়া, গোয়া, পরাদ্বীপ, ম্যাঙ্গালোর, তুতিকোরিন, কোচি এবং এন্নোরি। এছাড়াও, জলদস্যূ উপদ্রূত সোমালীয় তীর অতিক্রমের সময় অভিজাত বাহিনী বানিজ্য জাহাজ এর সাথে থাকবে।
সাধারণভাবে ব্যবহৃত ৫.৫৬ মিমি রাইফেল অথবা পিস্তলের পরিবর্তে কমান্ডোরা দূরপাল্লার আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে যেকোন ধরনের জলদস্যূতা মোকাবেলার জন্য। প্রত্যেক জাহাজে কমপক্ষে পাঁচজন করে নিয়োজিত থাকবে, সিং জানান।
এডেন উপসাগরীয় বানিজ্যাঞ্চল ভারতীয়, চীনা এবং জাপানীয়দের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় সংসদে লিখিত এক জবাবে জাহাজ চলাচল মন্ত্রী জি.কে. ভাসান এডেন উপসাগর দিয়ে ভারতের ৫০বিলিয়ন ডলারের আমদানি এবং ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির হিসাব দেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাঃ বিদ্যমান ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়
জাহাজ চলাচল মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব দুর্গা নন্দন বলেন, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ বর্তমানে যে বিকল্পগুলি রয়েছে তা ঘটনা সামলাতে যথেষ্ট নয়।
“বর্তমানে, বিভিন্ন দেশের কার্গো জাহাজগুলি বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য যখন সেগুলি উপসাগরীয় অঞ্চল অতিক্রম করে। অনেক জাহাজ, যেগুলি ভারতীয় পতাকা বহন করে, সেগুলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করে যারা জলদস্যূতা প্রবন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার জন্যে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়।
“যেহেতু, এসব কিছুই জলদস্যুতার অভিশাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে অপ্রতুল হিসেবে প্রমাণিত, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জাহাজগুলি পাহারা দিতে তার নিজের কমান্ডোদের নিয়োজিত করতে”, তিনি বলেন।
এম ভি কারিন বালকার বানিজ্য জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রদীপ কুন্ডু খবরকে বলেন, এ সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত এবং সময়োপযোগী। “আপনি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যূরো(আই এমবি)-এর সাম্প্রতিককালের একটি প্রতিবেদন যদি দেখেন, ১লা জানুয়ারি থেকে বিশ্বে সর্বমোট ২১০টি জলদস্যূতার ঘটনা ঘটেছে”, তিনি বলেন। “এর মধ্যে সোমালীয় তীরবর্তী অঞ্চল এডেন উপসাগরীয় এলাকায় ঘটেছে প্রায় ৭০টি ঘটনা”।
ঐ একই সময়ে, সোমালীয় জলদস্যুরা ১৩টি বানিজ্য জাহাজ অপহরণ করেছে এবং ২১২ জনকে বন্দী করে এবং তাদের কাছে এখন ১১টি কার্গো জাহাজ এবং ১১৮জন নাবিক বন্দী অবস্থায় আছে, কুন্ডু যোগ করেন।
একইসাথে, তিনি বলেন, বানিজ্য জাহাজগুলিতে সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতির আবার নিজস্ব এক ধরণের বিপদ আছে। তিনি ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের দুইজন জেলের হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন যাদের ইতালীয় জাহাজে থাকা পাহারাদাররা জলদস্যু বলে ভুল করে।
এধরনের ঘটনা এড়াতে আগে থেকে সতর্কতা নেয়া উচিৎ জেলেদের মত নিরপরাধ মানুষকে রক্ষা করতে, যারা ভুলবশতঃ লক্ষ্যবস্তু হয়, তিনি যোগ করেন।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, এ পাইলট প্রকল্পের বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং দলটির কার্যক্রম বছরের শেষ ভাগে শুরু হবে।
ভারত মহাসাগরে যখন বিশাল আকারের জলদস্যূতার ঘটনা ঘটে, ২০১২ এর মার্চের শেষ থেকে এ বছরের মে-র প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে- সোমালী জলদস্যূদের দ্বারা মুক্তিপণের দাবীতে ৪৩জন ভারতীয় নাবিককে অপহরণ করা হয়, ভারতীয় জাহাজ ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে জরুরী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হলে কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
সশস্ত্র প্রহরা জাহাজ
৬৯০০ জনের মত সি আই এস এফ কর্মকর্তা দেশের প্রধান ১৪টি বন্দরের পাহারায় নিয়োজিত থাকবে, যাদের মধ্যে রয়েছে, মুম্বাই, চেন্নাই, বিশাখাপত্তম, কলকাতা, হলদিয়া, গোয়া, পরাদ্বীপ, ম্যাঙ্গালোর, তুতিকোরিন, কোচি এবং এন্নোরি। এছাড়াও, জলদস্যূ উপদ্রূত সোমালীয় তীর অতিক্রমের সময় অভিজাত বাহিনী বানিজ্য জাহাজ এর সাথে থাকবে।
সাধারণভাবে ব্যবহৃত ৫.৫৬ মিমি রাইফেল অথবা পিস্তলের পরিবর্তে কমান্ডোরা দূরপাল্লার আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে যেকোন ধরনের জলদস্যূতা মোকাবেলার জন্য। প্রত্যেক জাহাজে কমপক্ষে পাঁচজন করে নিয়োজিত থাকবে, সিং জানান।
এডেন উপসাগরীয় বানিজ্যাঞ্চল ভারতীয়, চীনা এবং জাপানীয়দের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় সংসদে লিখিত এক জবাবে জাহাজ চলাচল মন্ত্রী জি.কে. ভাসান এডেন উপসাগর দিয়ে ভারতের ৫০বিলিয়ন ডলারের আমদানি এবং ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির হিসাব দেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাঃ বিদ্যমান ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়
জাহাজ চলাচল মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব দুর্গা নন্দন বলেন, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ বর্তমানে যে বিকল্পগুলি রয়েছে তা ঘটনা সামলাতে যথেষ্ট নয়।
“বর্তমানে, বিভিন্ন দেশের কার্গো জাহাজগুলি বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য যখন সেগুলি উপসাগরীয় অঞ্চল অতিক্রম করে। অনেক জাহাজ, যেগুলি ভারতীয় পতাকা বহন করে, সেগুলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করে যারা জলদস্যূতা প্রবন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার জন্যে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়।
“যেহেতু, এসব কিছুই জলদস্যুতার অভিশাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে অপ্রতুল হিসেবে প্রমাণিত, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জাহাজগুলি পাহারা দিতে তার নিজের কমান্ডোদের নিয়োজিত করতে”, তিনি বলেন।
এম ভি কারিন বালকার বানিজ্য জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রদীপ কুন্ডু খবরকে বলেন, এ সিদ্ধান্ত সুবিবেচনাপ্রসূত এবং সময়োপযোগী। “আপনি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যূরো(আই এমবি)-এর সাম্প্রতিককালের একটি প্রতিবেদন যদি দেখেন, ১লা জানুয়ারি থেকে বিশ্বে সর্বমোট ২১০টি জলদস্যূতার ঘটনা ঘটেছে”, তিনি বলেন। “এর মধ্যে সোমালীয় তীরবর্তী অঞ্চল এডেন উপসাগরীয় এলাকায় ঘটেছে প্রায় ৭০টি ঘটনা”।
ঐ একই সময়ে, সোমালীয় জলদস্যুরা ১৩টি বানিজ্য জাহাজ অপহরণ করেছে এবং ২১২ জনকে বন্দী করে এবং তাদের কাছে এখন ১১টি কার্গো জাহাজ এবং ১১৮জন নাবিক বন্দী অবস্থায় আছে, কুন্ডু যোগ করেন।
একইসাথে, তিনি বলেন, বানিজ্য জাহাজগুলিতে সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতির আবার নিজস্ব এক ধরণের বিপদ আছে। তিনি ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের দুইজন জেলের হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন যাদের ইতালীয় জাহাজে থাকা পাহারাদাররা জলদস্যু বলে ভুল করে।
এধরনের ঘটনা এড়াতে আগে থেকে সতর্কতা নেয়া উচিৎ জেলেদের মত নিরপরাধ মানুষকে রক্ষা করতে, যারা ভুলবশতঃ লক্ষ্যবস্তু হয়, তিনি যোগ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন