 |
| পুরনো কাসুন্দি ঘেটে কোনও লাভ নেই। |
টক-শো হোক বা কোনও ছবির প্রমোশন, একবার এই বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই কখনও খুব ডিপ্লোমেটিক, কখনও খুবই আক্রমনাত্বক বিভিন্ন উত্তর পাওয়া গেছে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দুজনের থেকেই। সে সব নিয়েই দিব্যি দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। তারই মাঝে আবার খবরে এল এই বিতর্কিত সম্পর্ক। তবে সল্লু মিঞাঁ-ই নাকি এবার নেপথ্যে! আর তাঁর হয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন বাজীরাও সিংহম ওরফে অজয় দেবগন। কিন্তু কেন? হঠাৎ অজয়ের সঙ্গে কিং খানের কী সমস্যা হল? নাকি সমস্যা আগে থেকেই ছিল? সে সম্পর্কে কোনও পাকা খবর না পাওয়া গেলেও যেটুকু শোনা গেল, তা কিছু কম নয়।
আসলে নিজের আপকামিং ছবি 'যব তক হ্যায় জান' নিয়ে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত শাহরুখ। আর কেনই বা ব্যস্ত থাকবেন না? ছবিটা যে তাঁর সবচেয়ে চেনা এবং সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ বিষয়কে কেন্দ্র করে- রোমান্স। এ বিষয়ে তাঁকে মাত দেবে- এমনও কেউ আছে নাকি? চোখ ধাঁধানো টিম নিয়ে যশ চোপড়ার শেষ ছবি 'যব তক হ্যায় জান'-এর টিআরপি তাই এখন গগনচুম্বী। এই ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করছেন অনুষ্কা শর্মা এবং ক্যাটরিনা কাইফ। দাবাং সলমানের সমস্যা কি দ্বিতীয় নামটা নিয়ে? ফলে এমত অবস্থায় সল্লু মিঞাঁর পাড়াকাঁপানো প্রবেশ! বরাবরই তিনি বেশ অ্যাটাকিং। অন্য দিকে, অজয় কিন্তু একেবারেই সেরকম নন- বরং বলিউডের শান্ত স্বভাবের তারকাদের মধ্যে তিনি একজন। সমস্যাটা তাহলে কোথায়? আসলে খুব তাড়াতাড়িই মুক্তি পেতে চলেছে অজয়ের ছবি 'সন অফ সর্দার'। ছবিতে অজয়ের সঙ্গে অভিনয় করছেন সঞ্জয় দত্ত, জুহি চাওলা এবং সোনাক্ষি সিংহ। তো, সম্প্রতি ছবির মুক্তির দিন একটু পিছিয়ে দিলেন অজয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয়ে গেল ঝামেলা!
আসলে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে 'যব তক হ্যায় জান'-এর সঙ্গেই। 'যব তক হ্যায় জান' মুক্তি পাওয়ার কথা দিওয়ালির সপ্তাহে। অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর থেকে যে সপ্তাহের শুরু! এদিকে 'সন অফ সর্দার'-এর মুক্তির দিন পরিবর্তিত হয়ে হল ১৩ নভেম্বর। আর এই ব্যাপারেই অজয়কে সাহস জোগালেন সলমন। শোনা যাচ্ছে সলমন বলেছেন, নিজের কাজের উপর আস্থা রাখতে আর কাউকে তোয়াক্কা না করতে! এমনকি শাহরুখের চোটে যাতে মার না খায় 'সন অফ সর্দার', তাই অজয়ের এই ছবির জন্যে একটি গানে কোমর দুলিয়েছেন সলমন এবং একটি ক্যামিও-ও শ্যুট করেছেন। প্রতিদানে অজয় তাঁর ছবির মুখ্য অভিনেত্রীকে খানিক ছাড় দিলেন। সোনাক্ষি তাই এখন 'সন অফ সর্দার'-এর প্রমোশন ছেড়ে ব্যস্ত 'দাবাংগ ২'-এর শ্যুটিং-এ। এবং তা সম্ভব হওয়ার জন্যে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি সল্লু মিঞাঁকে। সলমন তাঁর ভ্রাতৃসম; তাই এ ব্যাপারে একটা ফোনকলই যথেষ্ট ছিল- এমনটাই অন্তত দাবী করছেন অজয়। যাই হোক, সলমন-অজয়ের বন্ধুত্বের গভীরতা নিয়ে আমাদের কোনও সংশয় নেই আপাতত। কথায় তো আছেই- আ ফ্রেন্ড ইন নিড ইজ আ ফ্রেন্ড ইনডিড'! তবে শাহরুখের সঙ্গে সল্লু মিঞাঁর দূরত্ব আরও একবার খুব স্পষ্টভাবে সামনে এল। যাই হোক, এখন শুধুই অপেক্ষা, দেখা যাক কে বক্স-অফিসে বাজিমাত করে- শাহরুখের 'যব তক হ্যায় জান', নাকি অজয়ের 'সন অফ সর্দার'।
[ উৎসঃ আনন্দবাজার পত্রিকা ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন