
বিক্রি করতে না পারা হতাশ খামারি ও ব্যবসায়ীরা শনিবার গরু নিয়ে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বার্তা২৪ ডটনেটের সঙ্গে আলাপকালে এসব অভিযোগ করেন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর গরুর খামারি সালাম শেখ বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে নিজ খামারের ২৩টি গরু নিয়ে ঢাকায় আসি। ২৫ তারিখ পর্যন্ত বাজার ভালোই ছিল। ৫ দিনে ১০টি গরু বিক্রি করেছি। কিন্তু শেষ দুই দিনে মাত্র দুটি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। দাম অর্ধেকে নেমে আসায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।’’
কুমিল্লার মুরাদনগরের গরু ব্যবসায়ী আলিম খান বলেন, ‘‘বুধবার যে গরুটির দাম ৮৭ হাজার টাকা উঠেছিল, ৯৫ হাজারের আশায় তা বিক্রি করিনি। কিন্তু বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ গরুর দাম কোনোভাবেই ৫০ হাজারের উপরে উঠাতে পারিনি। তাই বিক্রি না করেই ফিরে যাচ্ছি। মিডিয়ার কারসাজিতে গরু নিয়ে মিথ্যা তথ্য পেয়েছে ক্রেতারা। তাই এ অবস্থা।’’
নীলফামারীর গরু আমদানিকারক জালাল মিয়া বলেন, ‘‘কেমনে বেচুম। একদিনের ব্যবধানে এক গরুতেই ২০ হাজার টাকা নাই। তাই না বেচেই বাড়ি ফিরছি। গাড়ি ভাড়াও লস। হুনছি পত্রিকা ও টিভিওয়ালারা গরু নিয়ে রেপোর্ট করছে। হেই থেইকা দাম পড়ে গেছে।’’
ঈদের দুই দিন আগে বেশ কটি সংবাদপত্র ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বাজারের অধিকাংশ নাদুসনুদুস গরুকেই টেবলেট খাইয়ে মোটা করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। এ ধরনের গরুর মাংস মানবস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি বলেও জানা যায় প্রতিবেদনে। এর পর থেকে গরু বিক্রি কমে যায়। ফলে দামও পড়ে যায়।
শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, মহাখালী ও সদরঘাট দিয়ে অসংখ্য গাড়িভর্তি অবিক্রিত গরু নিয়ে খামারি, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
দাম পড়ে যাওয়ায় শুক্রবার অনেক ব্যবসায়ী একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি বলেও জানান।
[ উৎসঃ বার্তা২৪ ডটনেট ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন