আলমডাঙ্গা |
||
ঘোলদাড়ী জামে মসজিদ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: আলমডাঙ্গা
উপজেলা ঘোলদাড়ী গ্রামে মহাম্মদ ঘোরীর আমলে ১০০৬ সালে ওমর শাহ নামে এক
ধর্মপ্রাণ দরবেশ একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । মসজিদটি ঐতিহাসিক মসজিদ হিসাবে
এতদাঞ্চলে পরিচিত । এই মসজিদটি দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেতে আজও আবিরভাব ঘটে
অনেক পর্যটকের। এখনোও এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় হয় ।
যেভাবে যেতে হবে:
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে আলমডাঙ্গা তারপর
আলমডাঙ্গা থেকে রিকসা বা ভ্যান যোগে ঘোলদাড়ী বাজার। ঘোলদাড়ী বাজার থেকে ১
কিঃ মিঃ যেয়ে ঘোলদাড়ী মসজিদ অবস্থিত।
সর্তকতা: আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজ স্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() |
|
তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
অতি প্রাচীন এই উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নে তিয়রবিলা গ্রামে গড়ে উঠেছিল এক
বাদশাহী মসজিদ যা পুরাকৃীর্তির এক সুন্দর নিদর্শন । নাটরের জমিদার রানী
ভবানী এই মসজিদটি বহু অর্থের বিনিময়ে সংস্কার করেন । এবং এই মসজিদরক্ষণা
বেক্ষণের জন্য ২৫ একর জমি ওয়াকফো করে দেন । মসজিদটি এতদাঞ্চলে ধর্মীয়
ঐতিহাসিক নিদর্শন।
যেভাবে যেতে হবে:
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে আলমডাঙ্গা উপজেলা তারপর
আলমডাঙ্গা থেকে রিকসা বা ভ্যান যোগে খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামে
মসজিদটি অবস্থিত।
সতর্কতা : আবাসন সুবিধা নেই বিধায় দিনের আলোয় নিজ স্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ |
|
আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: আলমডাঙ্গা
রেলওয়ে স্টেশন যা আজ শুধু স্টেশন বলে পরিচিত তা মূলতঃ নীলকর ইংরেজদের একটি
কুঠি । এখান থেকে তারা এ অঞ্চলের নীলচাষের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করতো ।
ভবনের উপর থাকতো ইংরেজ সাহেব । নীচ তলার কামড়া গুলো ছিল তাদের গুপ্ত ঘর বা
জেলখানা । এই কামরা গুলো এমন ভাবে নির্মিত যে, তিার ভিতর আলো, বাতাস এমনকি
বাইরের শব্দ পযমর্ত্ম প্রবেশ করতে পারতো না । যারা নীল চাষ করতে অস্বীকার
করত তাদেরকে ধওে এনে কুঠির নীচ তলায় আটকিয়ে রাখা হতো এবং প্রয়োজনবোধে তাদের
উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হতো । আজকের ‘‘ রেলওয়ে স্টেশন’’ নামে পরিচিত
সেদিনের এই নীলকুঠিতে জানা-অজানা অনেক কলঙ্কময় ঘঁন্ ঘটেছে । এর রেল স্টেশন
ভবনে সংঘঠিত নীলকর সাহেবদের অত্যাচার আর নির্যাতনের করম্নর স্মৃতি জনপদকে
স্মরণ করিয়ে দেয় আলমডাঙ্গার বেদনাময় অতীতকে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরে অবস্থিত আলমডাঙ্গা রেল স্টেশন।
|
||
![]() |
||
![]() |
||
চুয়াডাঙ্গা সদর |
||
হযরত খাজা মালিক উল গাউস (রঃ)এর মাজার
(গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: হযরত
খাজা মালিক উল গাউস (রাঃ) একজন সাধক ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা
তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামে একটি নির্জন মাঠে আস্তানা গড়ে তোলেন।
সেখান থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন। এলাকায় পীর হিসেবে পরিচিতি লাভ
করেন। ঐখানের তিনি বাংলা সনের ৭ আষাঢ় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গড়াইটুপি
গ্রামের মাঠের মধ্যে তার মাজার আছে। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় হযরত খাজা মালিক উল
গাউস (রাঃ) স্মরণে সাত দিন ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যাহা মেটেরী মেলা
পরিচিত।
যেভাবে যেতে হবে:
চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে সরোজগঞ্জ বাজার তারপর ভ্যান যোগে তিতুদহ ইউনিয়নের
গড়াইটুপি গ্রামে হযরত খাজা মালিক উল গাউস (রাঃ) এর মাজার অবস্থিত।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজ স্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() |
|
![]() |
||
![]() |
||
দামুড়হুদা | ||
দর্শনা কেরু এন্ড কোং লিঃ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ডিসটিলারী
ইউনিটের অংশ হিসাবে ঐতিহ্যবাহী দর্শনা কেরু এন্ড কোং লিঃ এশিয়া মহাদেশের
বৃহত্তম চিনিকল যা বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি উৎকৃষ্ট পিকনিক
স্পট যেখানে একটি দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট মনোরম গেস্ট হাউজ রয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে দর্শনা যেতে হবে। দর্শনা শহরেই অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কেরু এ্যান্ড কোং লিঃ।
|
![]() দর্শনা কেরু এন্ড কোং লিঃ |
|
দর্শনা রেল ষ্টেশন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: বৃটিশ
আমল থেকে দর্শনায় আন্তর্জাতিক মানের কম্পিউটারাইজড সুবিধাসহ ১ কিলোমিটারের
ব্যবধানে ২টি রেলওয়ে ষ্টেশন অবস্থিত। ভারত বাংলাদেশ সৌহার্দ্যের
বহিঃপ্রকাশস্বরূপ ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল হতে মৈত্রী ট্রেন দর্শনা-গেদে
সীমান্ত দিয়ে চলাচল করছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে দর্শনা যেতে হবে। দর্শনা শহরেই অবস্থিত দর্শনা আন্তর্জতিক রেল স্টেশন।
|
![]() দর্শনা রেল ষ্টেশন |
|
দর্শনা শুল্ক ষ্টেশন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ১৯৪৭
সালে ভারত বিভক্তির পর থেকে দর্শনায় শুল্ক ষ্টেশন চালু হয় যা অদ্যাবধি
চালু রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ কাষ্টমস অফিস ও শুল্কগুদামসহ
১১৯ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর আবাসিক সুবিধা বিদ্যমান। এই শুল্ক ষ্টেশন থেকে
বছরে গড়ে রাজস্ব প্রাপ্তি আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে দর্শনায় যেতে হবে। দর্শনা শহরেই অবস্থিত দর্শনা শুল্ক স্টেশন।
|
||
দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোষ্ট
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: দর্শনা
সীমান্তে জিরো পয়েণ্ট থেকে ১০০ গজের মধ্যে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোষ্টের
স্থায়ী অবকাঠামো রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ২০০ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে
যাতায়াত করে থাকে।
যেভাবে যেতে হবে:
চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে দর্শনায় যেতে হবে। তারপর দর্শনা
থেকে রিকসা বা ভ্যান যোগে জয়নগর গ্রামে অবস্থিত ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস
চেকপোষ্ট যেথে হবে। শহরেই অবস্থিত দর্শনা শুল্ক স্টেশন।
সর্তকতা : ভারত সীমান্ত এলাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এবং আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজ স্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
||
নাটুদহ আটকবর
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: নতিপোতা
ইউনিয়নের নাটুদহ গ্রামে ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট পাক সেনাদের সাথে
সন্মুখযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর বিদ্যমান যা মুক্তিযুদ্ধের
স্মৃতিবিজড়িত আটকবর নামে ঐতিহাসিক মর্যাদা লাভ করেছে। শহীদ আটজন বীর
মুক্তিযোদ্ধা হলেন - আলাউল ইসলাম খোকন, হাসান জামান, আবুল কাশেম, রওশন আলম,
রবিউল ইসলাম, আফাজ উদ্দিন, খালেক সাইফুদ্দিন তারেক ও কিয়ামুদ্দিন।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়ডাঙ্গা শহর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে বাসযোগে নাটুদহ আটকবর যেতে হবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() নাটুদহ আটকবর |
|
নাটুদহ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: নাটুদহের
পাল বংশের জমিদার নফরচন্দ্র পাল চৌধুরী কর্তৃক নির্মিত অনেক নিদর্শন
নতিপোতা ইউনিয়নের নাটুদহ গ্রামে পরিদৃষ্ট হয়। এখানকার হাজার দুয়ারী ভবনটি
দৃষ্টিনন্দন। বর্তমানে ভবনটি নাটুদহ হাইস্কুলে রূপান্তরিত হয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়ডাঙ্গা শহর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে বাসযোগে নাটুদহ আটকবর যেতে হবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() হাজার দুয়ারী ভবন |
|
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন দর্শনা কলেজ প্রঙ্গণে তৎকালীন অধ্যক্ষ ও
দুই জন প্রভাষক-কে পাক হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্তমান
দর্শনা সরকারী কলেজের অভ্যন্তরের সেই প্রাঙ্গনটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস অথবা ট্রেন যোগে দর্শনায় যেতে হবে। দর্শনা শহরেই অবস্থিত দর্শনা সরকারি কলেজ।
|
||
চারুলিয়া
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: নতিপোতা
ইউনিয়নের অন্তর্গত চারুলিয়া গ্রাম ইতিহাস প্রসিদ্ধ। গ্রামটির পূর্ব নাম
ছিল চাহার আউলিয়া। এখানে হযরত খানজাহান আলীর সফরসঙ্গী হজরত মেহমান শা’র
মাজার রয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়ডাঙ্গা শহর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে বাসযোগে চারুলিয়া গ্রামে যেতে হবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
||
কার্পাসডাঙ্গা
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ১৯১০
সালে প্রকাশিত গ্যারেট সাহেবের নদীয়া গেজেটিয়ারে স্থানটিকে নবাবী আমলের
শীকার ভূমি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হিলম সাহেবের কুঠিবাড়ী হিসাবে পরিচিত
ছিল স্থানটি। খ্রিষ্ট ধর্মীয় গীর্জা ও মিশনসমূহ এ স্থানটির গুরুত্ব বাড়িয়ে
দিয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত মিশন চত্বর অত্যন্ত
আকর্ষণীয়।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়ডাঙ্গা শহর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে বাসযোগে কার্পাসডাঙ্গা যেতে হবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
||
তালসারি
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: কার্পাসডাঙ্গা
ইউনিয়নে সরকারী সায়রাতভূক্ত শিবনগর ফলকরটির প্রবেশপথ ‘তারসারি’ নামে
পরিচিত যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হৃদয়স্পর্শী। ফলকরটিতে বর্তমানে পাঁচ শ’র
অধিক আম গাছ রয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে: চুয়ডাঙ্গা শহর থেকে দামুড়হুদা উপজেলা। দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে বাসযোগে কার্পাসডাঙ্গা হয়ে শিবনগর গেলে তালসারি দেখা যাবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() |
|
দত্তনগর কৃষি খামার
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা ব্যাপী বিস্তৃত এবং এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার হিসেবে এটি পরিচিত
যেভাবে যেতে হবে: চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে বাস যোগে জীবননগর উপজেলা যেতে হবে। উপজেলা শহর থেকে রিকসা বা ভ্যান যোগে দত্তনগর গেলে কৃষি খামার দেখা যাবে।
সর্তকতা : আবাসন সুবিধা নেই। বিধায় দিনের আলোয় নিজস্থানে ফিরে আসতে হবে।
|
![]() |
|
ধোপাখালী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান | ![]() |
|
কাশিপুর জমিদার বাড়ী | ![]() |
|
ধোপাখালী শাহী মসজিদ | ![]() |
|
শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২
চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন