
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে দিঘলি গোবিন্দগঞ্জ সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে হামলা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়ার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান, ৩০-৪০ জন দুষ্কৃতকারী এই হামলা চালিয়েছে।
“প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে,” বলেন তিনি।
বিশ্বনাথ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ পাল জানান, রাতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া তার সমর্থকদের নিয়ে মণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় মণ্ডপের বাইরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
“এর কিছু পরেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৩০-৪০ জনের একটি দল মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করে। তারা মন্দিরের প্রসাদের লাল-ডাল ও প্রণামীর বাক্সও লুট করে। বাইরের সব চেয়ার ভেঙে ফেলে।”
হামলাকারীরা মন্দিরের পাশের গোপীনাথ জিউর আখড়াতেও হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে অরবিন্দ জানান। তবে হামলাকারীদের চিনতে পারেননি তিনি।
ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তারা সেখানে পূজারি ও ভক্তদের কথা শোনেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান এই ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউপি চেয়ারম্যান ধলা মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।”
আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় ২০-২৫ জন আহত হন বলেও দাবি বলেন এই বিএনপি নেতা।
[উৎসঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন