
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যে নিজামুদ্দীন আহমেদ একথা বলেন। তিনি এই বিএনপি নেতার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর দ্বারা নির্যাতনের বর্ণনাও তুলে ধরেন।
সালাউদ্দিন কাদেরের বাবা মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের স্বাধীনতার পর কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান। মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা বর্ননা করে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নিজাম বলেন, ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই চট্টগ্রামের গুডস হিলে ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
“আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ১৮/১৯ বছর বয়সী একটি ছেলে ও একটি মেয়ে এসে আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে থাকে।”
নিজামের দাবি, ফজলুল কাদের তাকে ঘুষি মেরে নির্যাতনের শুরু করেন। এরপর ফজলুল কাদেরের নির্দেশে তাকেসহ আরো দুই মুক্তিযোদ্ধার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
একাত্তরে সদ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে ডিগ্রি নেয়া নিজাম যখন ঘটনার বর্ণনা করছিলেন, তখন কাঠগড়ায় দাঁড়ানো বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন শব্দ করেই হাসছিলেন। আদালতে থাকা তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসছিলেন।
নিজাম বলেন, পুরো রাত তাকে গুডস হিলে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়।
“গুডস হিলে নির্যাতনের সময় আমি শুনেছি যে আমাদের আটক করা সেনাবাহিনীর দলটিকে সালাউদ্দিন কাদের সহযোগিতা করছিলেন।”
নিজাম বলেন, তিনি ও দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আটকের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে বেসামরিক পোশাকের তিন থেকে চারজন সুদর্শন যুবক ছিলেন।
“আটক করার পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মধ্যে আমাদের বহন করা জিপটি গুডস হিলের দিকে উঠতে থাকে।জিপ বাড়ির লনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দুই যুবক লাফ দিয়ে বিজয়ীর সুরে বলে ওঠে- ‘মিশন সাকসেসফুল’।”
সালাউদ্দিন কাদের ওই যুবকদেরই একজন বলে পরে জানতে পারেন বলে ট্রাইব্যুনালে জানান নিজাম।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের গত বছর গ্রেপ্তার হন। গত এপ্রিলে তাকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিএনপির দুই নেতার একজন হলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের।
[ উৎসঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন