
রাজধানীর মহাখালীতে প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পরিবারের সদস্যরা।
অন্যবার বড় আয়োজনে অনুষ্ঠান হলেও এবার প্রতিষ্ঠানের সদস্য এবং তাদের পরিবার নিয়ে ঘরোয়াভাবে তা উদযাপন হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বর্তমান কর্মীদের সঙ্গে সাবেক কর্মীরাও তাদের পুরনো কর্মস্থলে এসে মেতে উঠেছেন প্রাণখোলা আড্ডায়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ, শিল্পী মর্তুজা বশির, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সাংবাদিক শফিক রেহমান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহমেদ শফি, মোহাম্মদীয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হকসহ এ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিভাগের নিয়মিত কলাম লেখকরা।
কেক কেটে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘জন্মদিনের’ আনুষ্ঠানিকতা সারেন এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
তিনি বলেন, “দেশে একটি সংবাদকক্ষের ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকার চর্চা আমরাই শুরু করেছিলাম। এখন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি কয়েকটি সংবাদপত্রও তা অনুসরণ করছে।”
এই উপলক্ষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র হিসেবে ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর আত্মপ্রকাশকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এখন বাংলাদেশে সংবাদের নির্ভরযোগ্য উৎস।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় শুধু সংবাদ পরিবেশন দিয়ে শুরু হলেও প্রতিষ্ঠানের কাজের ব্যাপ্তি দিনে দিনে বেড়েছে অনেক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমই সর্বপ্রথম শিশুদের জন্য তৈরি করেছে বাংলা ওয়েবসাইট ‘কিডজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’, যা শুরুতেই জনপ্রিয়তা পায়। শিশু সাংবাদিক তৈরিতে ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ক্রীড়ামোদী, প্রযুক্তি অনুসন্ধিৎসু, সাহিত্যপ্রিয় পাঠকের রুচি বিবেচনায় রেখেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তৈরি করেছে আলাদা আলাদা সাইট।
দুর্লভ ধ্রুপদী সাহিত্য সৃষ্টিকে ই-বুকে রূপান্তরের বিপুল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের হারিয়ে যাওয়া সম্ভার তুলে ধরা হয়েছে আর্টস ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।
পাতা উল্টে সাময়িকী পড়ার চিরায়ত স্বাদ নতুন করে ফিরিয়ে এনে তৈরি করা হয়েছে ভি-ম্যাগ বা ভার্চুয়াল ম্যাগাজিন, এটিও বাংলা ভাষায় প্রথম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমই বাংলাদেশে নাগরিক সাংবাদিকতার প্রথম অনলাইন মঞ্চ।
প্রতি মাসে গড়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর ৬ কোটি পাতা পাঠকরা খোলেন। প্রতিদিন চার লাখ আইপি অ্যাড্রেস থেকে খোলা হয় দ্বিভাষিক এই ওয়েবসাইট, অনেক দিন তা আট লাখে ওঠে।
মোবাইল ফোনে সংবাদ দেওয়ার বিষয়টিও বাংলাদেশে প্রথম জনপ্রিয় করে তোলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা প্রতি মুহূর্তেই পাচ্ছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সংবাদ।
গ্রামীণফোনের মাধ্যমে শুধু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সংবাদ শোনাই যাচ্ছে না, বড় খবরের ক্ষেত্রে ‘ব্রেকিং নিউজ’ সার্ভিসে ইংরেজি এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষণিক খবর। এছাড়া প্রতিদিন সকালে (ব্রেকফাস্ট নিউজ), দুপুরে (মিড ডে আপডেট) এবং সন্ধ্যায় (ইভনিং আপডেট) এসএমসের মাধ্যমে পাওয়া যায় তাজা খবর। এছাড়া প্রতিদিন সকালে ব্যবসা-বাণিজ্যের খবর নিয়ে রয়েছে ‘বিজনেস আপডেট’।
দেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইট চালুর অগ্রদূতও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টায় কম মূল্যের মোবাইল সেট ব্যবহারকারীদের জন্য প্রথম বাংলা ওয়্যাপ সাইট নির্মাণও এই প্রতিষ্ঠানেরই। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য মোবাইল আপস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর নিউজ পোর্টাল এখন সামাজিক যোগাযোগের সক্রিয়তম বাংলাদেশি নিউজ সাইট। ফেইসবুকে এর পেইজে ফ্যান সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। টুইটারের পাতাতেও উপস্থিত সর্বক্ষণ। ফেইসবুকে গড়ে প্রতিদিন ১৩ হাজার সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এই পেইজে থাকেন।
[ উৎসঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন