
কুষ্টিয়া, ১৫ অক্টোবর: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া কুমারখালীর ছেউড়িয়ায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মরমী সাধক ফকির লালন শাহের ১২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাঁচদিন ব্যাপী স্মরণোৎসব ও মেলা।
ইতিমধ্যেই এখানে সমাগত হয়েছেন অসংখ্য লালন অনুসারী ও ভক্ত। গান, বাউল মেলা, আলোচনা সভা ও সাধুসংঘের মধ্য দিয়ে চলবে এ উৎসব। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফের এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও লালন একাডেমির আয়োজনে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২২তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে নানা আয়োজনে মুখরিত কুষ্টিয়া শহরতলীর কুমারখালীর কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদীর তীর। এ নদীর তীরেই ছেউড়িয়ার লালন সমাধি।
বাংলা ১২৯৭ সনের ১ কার্তিক ও ইংরেজি ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ সালে এখানেই মরমী সাধক লালন শাহ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ছাড়াও বিদেশ থেকেও লালন অনুসারীরা এখানে আসেন আত্মীক প্রশান্তি লাভের আশায়।
সাঁইজীর ধামে জায়গা করে নিতে এ স্মরণোৎসবকে পুরোপুরি উপভোগ করতে আগে থেকেই এখানে এসেছেন ভক্ত অনুসারীরা। তারা মরমী সাধক লালন শাহ’এর আধ্যাত্মিক দর্শনের কথাও তুলে ধরছেন। এমনটিই উল্লেখ করেন লালন অনুসারী ফকির হৃদয় শাহ।
মরমী সাধক বাউল সম্রাট লালন সাঁই বাঙালি চেতনায় এক অবিস্মরণীয় কালপুরুষ। তার গানের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সৃষ্টি রহস্য। সাঁইজীর আধ্যাত্মিকতা, যে সাধনা, তার যে গান সত্য বানী তা পুরোটাই সাধনা নির্ভর।
মঙ্গলবার সকালে লালনের নতুন ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সুচনা হবে। মূল আনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিয়ের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এই পাঁচ দিনের স্মরণোৎসবকে ঘিরে দেশ বিদেশের ভক্ত অনুসারী ও বাউলদের ১২ দিনব্যাপী খাদ্য পরিবেশন, চিকিৎসার পাশাপাশি নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক।
বাউল সাধক লালন শাহের অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার আর্দশিক বিষয় নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী চলবে আলোচনার পাশাপাশি লালন সঙ্গীত পরিবেশন। আর এ উৎসবকে ঘিরে কালী নদীর তীরে বসানো হয়েছে বাউল মেলা। যেখানে মিলিত হবে দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত অনুসারী ও নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন