বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১২

আমাদের জানা অজানার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা

অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা, অগম্য স্থানে পদচিহ্ন এঁকে দেয়া; এসবই হচ্ছে সাহসী মানুষদের প্রতীকী বৈশিষ্ট্য। কৌতুহল মানুষের এমন একটা শক্তি, যা মানুষকে যেমন কল্পনার জগৎকে বিস্তৃত করতে শেখায়, অন্যদিকে সে কল্পনার জগতটাকে বাস্তবের পৃথিবীতে নিয়ে আসার দিক নির্দেশকের ভূমিকাও পালন করে। দিনে দিনে কল্পলোক আর বাস্তবের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাচ্ছে। আজ যেটা কল্পনার অযোগ্য, কালই সেটা চরম সত্য হয়ে আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে।

কল্পনার জগতে একটা দৃশ্যপট চিন্তা করুন, সময়ের পরিভ্রমনে এখন থেকে আরো একশত বছর পরে; ভবিয্যতের কোন এক সকালে আর্কিমিডিস, আইনস্টাইন, নিউটন স্বশরীরে পৃথিবীতে ফিরে এলেন। উদ্দেশ্য তাদের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে পূর্ণতা লাভ করে ফিরে যাবেন। একবার চিন্তা করে দেখুনতো তারা আমাদের ভবিষ্যতের পৃথিবীকে দেখে কি অনুভূতি প্রকাশ করবেন? আর তাদের অসমাপ্ত কাজগুলোর ব্যপারে কি পদক্ষেপ নেবেন?
মানুষ মহাকাশে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেছিন অনেক আগেই। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য যে সংস্থাগুলো তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম নাসা (NASA) । সম্পূর্ণ নাম “ন্যাশনাল এরোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” (The National Aeronautics and Space Administration) হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা । এই সংস্থাটি ১৯৫৮ সালের ২৯ শে জুলাই, National Advisory Committee for Aeronautics (NACA) এর উত্তরসুরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো আর এর সদর দফতর ছিলো ওয়াশিংটন ডিসিতে।
৪৬ বছরের পুরানো NACA এবং তার ৮০০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০০ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক বাজেট, তিনটি প্রধান গবেষণাগার এর সমন্বয়ে ১৯৫৮ সালের অক্টোবরের ১ তারিখে নাসার মূল কার্যক্রম শুরু হয়। সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র এজেন্সী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির উপকরণসমূহ নাসাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নাসা সীলমোহর রাষ্ট্রপতি আইজেনহাওয়ার দ্বারা ১৯৫৯ সালে অনুমোদিত হয়েছিল।
নাসার নেতৃত্বে যে সকল অভিযান, এবং মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এপোলোর চন্দ্র অভিযান (প্রজেক্ট এপোলো:১৯৬১-১৯৭২), স্কাইল্যাব (১৯৬৫-১৯৭৯), স্পেস স্যাটল প্রোগ্রাম (১৯৭২-২০১১), আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (১৯৯৮ –বর্তমান)।
এছাড়া মাত্র কিছুদিন আগে ৬ আগষ্ট ২০১২ নাসার পাঠানো কিউরিসিটি রোভার মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করে। এবং এটা এখন পর্যন্ত সফলতার সাথে প্রতিদিনই মঙ্গল পৃষ্টের জীবন্ত ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ পৃথিবীতে পাঠিয়ে চলেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উপরে ফিরে আসুন Blogger Widgets