বেসবল খেলা নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন। অনেকটা ক্রিকেটের মতোই। দুই দলে ভাগ
হয়েই ওরা খেলে। একদল ব্যাটিং করে, আরেকদল করে বোলিং। ক্রিকেটের মতোই
আম্পায়ারও থাকে। আর থাকে মাঠভর্তি দর্শক! কারণ খেলাটাও যে বড়ো সড়ো কোনো
মাঠেই হয়। এতো মিলের মাঝেও কিন্তু বিশাল একটা অমিল আছে। আর অমিলটা হলো, বল
নিয়ে। ক্রিকেট খেলায় বহুবার ব্যাটসমানরা ছক্কা পিটিয়ে বল গ্যালারিতে পাঠায়।
যতোবারই পাঠাক না কেন, প্রতিবারই সেই বল মাঠে ফেরত পাঠাতে হয়। কিন্তু
বেসবল খেলায় বল যদি গ্যালারিতে চলেই যায়; আর আপনি যদি সেটা পেয়ে যান, তাহলে
নিশ্চিন্ত মনে ওটা সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। ফেরত দিতে হবে না!
দারুণ না ব্যাপারটা?

ক্রিকেট বলের ওজন কতো?
এই প্রশ্নটা আপনাদের মনে কতোবার এসেছে বলেন দেখি? যদি সঠিক জবাব জানা না
থাকে, তাহলে জেনে নেন, ১৫৫.৯ গ্রাম থেকে ১৬৩ গ্রামের মধ্যে থাকে বলের ওজন।
আর অনেকেই বলে, ক্রিকেট নাকি কাঠের বল। আসলে কাঠ না, কর্কের বল বলতে পারেন।
কর্ক চিনলেন না? ঐ যে, ব্যাডমিন্টন খেলায় সাটল কর্ক বলি যে আমরা, ওটার
পালকের একদম নিচে যে অংশটা থাকে, যেখানে র্যাকেট দিয়ে বাড়ি মারা হয়, ওটাই
হলো কর্ক। এই কর্ক অনেকগুলো ছোট ছোট টুকরা করা। যেগুলো একসঙ্গে জোরে চাপ
দিয়ে আটকে রাখা হয়। সেই সঙ্গে সুতা দিয়ে সেলাইও করা হয়। তারপর মুড়িয়ে দেওয়া
হয় চামড়া দিয়ে। আর চামড়ার সেলাইটাও করা হয় মজবুতভাবে। তবে এবার কিনা,
সেলাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আঠাও লাগানো হয়। যা কিনা শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট বলকে
একটা ধারালো আবহ এনে দেয়। সেজন্যই বলি, যদি না জানেন কিভাবে বল ধরতে হবে,
তাহলে কখনোই ক্রিকেট বল ধরার চেষ্টা করবেন না। বেকায়দায় পড়লে, শরীরের
যেখানে লাগবে, সেখানে কেটে যাবে!
বলের ওপরের চামড়ার রঙটা বহুদিন ধরে শুধুই লাল রঙের ছিল। এরপর যখন দিবা রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হলো, তখন থেকেই সাদা রঙের বল ব্যবহারের শুরু। রাতের বেলা ফ্লাড লাইটের আলোয় লাল রঙের বল সহজে দেখা যায়না। আর সেজন্যই লালের বদলে অন্য কোনো রঙ খোঁজা হচ্ছিল। এজন্য হলুদ আর কমলা রঙের বল দিয়ে খেলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাদাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। হুম, এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন, প্রথম কবে তাহলে দিবা রাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল? ১৯৭৯ সলের ২৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম দিবা রাত্রি ম্যাচ।
বলের ওপরের চামড়ার রঙটা বহুদিন ধরে শুধুই লাল রঙের ছিল। এরপর যখন দিবা রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হলো, তখন থেকেই সাদা রঙের বল ব্যবহারের শুরু। রাতের বেলা ফ্লাড লাইটের আলোয় লাল রঙের বল সহজে দেখা যায়না। আর সেজন্যই লালের বদলে অন্য কোনো রঙ খোঁজা হচ্ছিল। এজন্য হলুদ আর কমলা রঙের বল দিয়ে খেলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাদাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। হুম, এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন, প্রথম কবে তাহলে দিবা রাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল? ১৯৭৯ সলের ২৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম দিবা রাত্রি ম্যাচ।


যাক বল নিয়ে অনেক কথাই হলো। এবার আপনাদের আরেকটা অবাক করা গল্প বলে আজ শেষ
করি। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বলটির দাম কতো হতে পারে, ভাবেন তো? বলটি তৈরি করা
হয়েছিল ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে, শ্রীলঙ্কায়। বলটা ছিল পুরোটাই হীরার তৈরি!
ওজন ৫৩.৮৩। আর বলটির সিম কী দিয়ে বানানো হয়েছিল, জানেন? একদম খাঁটি সোনা
দিয়ে! পুরো ১২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে বানানো হয়েছিল বলটির সিম!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন